10 Sep
দেশের অন্যতম আধুনিক ও বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এবং চট্টগ্রামের ১ম আইএসও এক্রিডিটেশন প্রাপ্ত ল্যাবরেটরি এপিক হেলথ কেয়ার যাত্রার এক দশক পূর্তি উদযাপন করেছে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে। প্রতিষ্ঠানটির ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত হয় দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি - যেখানে ছিল মানবিক উদ্যোগ, সম্মাননা, বিনোদন ও পারিবারিক বন্ধনের অনন্য সমন্বয়। ৮ অক্টোবর সকালে এপিক হেলথ কেয়ারের প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে চমেক পূর্ব গেইট শাখায় শেষ হয় বর্ণাঢ্য “আনন্দ র্যালি”। এ র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের কর্মচারী ও কর্মকর্তাবৃন্দ। এরপর আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, যা স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি মানবিকতার প্রতীক হয়ে ওঠে। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন। মেয়র তাঁর বক্তব্যে এপিক হেলথ কেয়ারের গত এক দশকের স্বাস্থ্যসেবা, সমাজসেবামূলক কার্যক্রম ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের অবদানকে বিশেষভাবে প্রশংসা করেন। ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ এর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন এপিক হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এস এম লোকমান কবির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এস এম আবু সুফিয়ান, পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মো. আনোয়ার হোসেন, টি এম হান্নান, মো. জসীম উদ্দিন, তহমিনা মরিয়ম, তানজিনা কবির, ডিজিএম ডাঃ সোমেন পালিত প্রমুখ।
পরদিন ৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের দ্যা কিং অব চিটাগং মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় “এপিক ফ্যামিলি নাইট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা”। এ আয়োজনে অংশ নেন এপিক পরিবারের সকল সদস্য ও তাঁদের পরিবারবর্গ। সন্ধ্যার অনুষ্ঠানটি ছিল বিনোদন, সম্মাননা ও সৃষ্টিশীলতার দারুণ সংমিশ্রণ। অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান, বিতর্ক, নাটক, নৃত্য, সংগীত পরিবেশনা, গেম-শোসহ নানা আকর্ষণীয় পর্ব। এপিক হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁদের বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের এক দশকের যাত্রাপথ, সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তারা বলেন, “এপিক হেলথ কেয়ার শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি পরিবার - যেখানে সবার লক্ষ্য একটাই, মানুষের সুস্বাস্থ্য ও মানসম্পন্ন সেবা।”
বিগত ১০ বছরে এপিক হেলথ কেয়ারের উল্লেখযোগ্য অর্জন ও সংযোজনগুলোর মধ্যে রয়েছে - আধুনিক ডায়াগনস্টিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত চট্টগ্রামের মেডিকেল অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্রে (চট্টগ্রাম মেডিকেল ও আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল পার্শ্ববর্তী) ১৫০ এর অধিক বিশেষজ্ঞ কনসাল্টেন্ট এর সমন্বয়ে মোট ৩টি শাখা। পরপর দুইবার ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তিগত চর্চার গুণগত মানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আইএসও ‘এক্রিডিটেশন সনদ’ অর্জন। পূর্ণকালীন বিশেষজ্ঞ ডেন্টিস্ট, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও স্পেশালাইজড পেডিয়েট্রিকসহ মাল্টি ডিসিপ্লিনিয়ারি বিভাগের সমন্বয়ে এপিক গোল্ডেন কোর ভবনে চালু করা হয়েছে এপিক ডেন্টাল কেয়ার। চট্টগ্রাম মেডিকেল পূর্ব গেইট শাখায় চালু করা হয়েছে বিশ্বমানের ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশান সেন্টার। রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন সুলভ মূল্যে ডে-কেয়ার সার্ভিসেস। ইনফেকশাস ডিজিজ সনাক্ত ও গবেষণার প্রয়োজনে চট্টগ্রামের বেসরকারি সেক্টরে ১ম ‘বায়োসেফটি লেভেল থ্রি’ ল্যাব স্থাপন করেছে এপিক হেলথ কেয়ার। উক্ত বিএসএল থ্রি ল্যাবে চট্টগ্রামে ১ম জিকা ভাইরাস সনাক্তের রেকর্ডও এপিক হেলথ কেয়ারের যা সারাদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। রোগীরা ঘরে বসেই যেন রিপোর্ট দেখতে বা ডাউনলোড করতে পারে সেজন্য চালু করা হয়েছে প্যাথলজি অনলাইন রিপোর্ট ডেলিভারি সিস্টেম। নিরবিচ্ছিন্ন কাস্টমার সার্ভিস নিশ্চিত করতে চালু করা হয়েছে সেন্ট্রাল কল সেন্টার। ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট, অর্থোডন্টিক সহ সব ধরনের আধুনিক ও জটিল দন্ত্য চিকিৎসার প্রয়োজনে পূর্ব গেইট শাখায় চালু রয়েছে চট্টগ্রামের একমাত্র সিবিসিটি পরীক্ষার সুযোগ। দেশে ১ম বারের মত সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ১২০ টি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের প্রায় ২ হাজার মেডিকেল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এপিক হেলথ কেয়ার আয়োজন করেছে ন্যাশনাল এনাটমি অলিম্পিয়াড। এপিক হেলথ কেয়ার গোল্ডেন কোরে শীঘ্রই অপারেশনাল হবে চট্টগ্রামে ১ম বারের মত ক্যাডক্যাম ডেন্টিস্ট্রি ও অত্যাধুনিক ডেন্টাল ল্যাবরেটরি।
দশ বছর পূর্তির এই উৎসব শুধু একটি অর্জনের স্মারক নয়, বরং আগামী দিনের অঙ্গীকার - আরও নিখুঁত, আধুনিক ও মানবিক স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রুতি। এপিক হেলথ কেয়ার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সকল সম্মানিত চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শুভানুধ্যায়ী ও সেবাগ্রহীতাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।